রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং তাঁর স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গভবনে সংবর্ধনার আয়োজন করেন। ভুটানের সফররত রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তারা আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। খবর বাসসের।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা চার দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে রয়েছেন। ভুটানের রাজা বিকেল ৫টার দিকে রানী জেটসুন পেমাকে নিয়ে বঙ্গভবনের লনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এতে ২ হাজার ৬০০ জনের মতো অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, ভুটানি প্রতিনিধি দলের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। শীর্ষ পর্যায়ের বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারা এতে অংশ নেন। সংবর্ধনা শেষে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ভুটানের রাজার সৌজন্য সাক্ষাৎ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক গতকাল বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে দুই দেশের যৌথ সমন্বয় ও উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ভুটানের রাজা শিক্ষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ ব্যক্ত করেন। বৈঠকে ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী ডি এন ধুংগেল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভুটানের রাজা ও রানী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা তাদের ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। বৈঠক শেষে ভুটানের
রাজা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।